
ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে দেশটির সর্বোচ্চ প্রশংসা পদক পেলেন সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ইন্দোনেশিয়ার অনারারি কনসাল সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খুলশিতে অনারারি কনসাল কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুফি মিজানকে ইন্দোনেশিয়া সরকারের এই সর্বোচ্চ প্রশংসা পদক তুলে দেওয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আগত দেশটির সরকারের বিশেষ দূত ডাওরানা আতিকাশ ডিউই ও ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়া দুতাবাসের পলিটিক্যাল এফেয়ার্স প্রধান নূর হামামু রিজকী প্রশংসা পদকটি হস্তান্তর করেন।
এসময় সুফি মিজান বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ। উভয় দেশ ভবিষ্যতেও সহযোগিতার এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। এই অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে দুই দেশ একত্রে কাজ করবে।’
বিশিষ্ট এ শিল্পপতি বলেন, ‘বিশ্বের যে কয়টি দেশ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। বাংলাদেশে ইন্দোনেসিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে আমি সেদেশের রাষ্ট্রপতিসহ তাদের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বদাই সচেষ্ট।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ মিলে-মিশে থাকে। বাংলাদেশে প্রতিহিংসা, সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। আমাদের শুধু অর্থ উপার্জন করলেই হবে না, নিজেদের চরিত্রকেও গঠন করতে হবে।’
ইন্দোনেশিয়া সরকারের বিশেষ দূত ডাওরানা আতিকাশ ডিউই বলেন, ‘আমি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশংসা করি। পিএইচপি পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। অনারারি কনসাল সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও পাষ্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ করে রেখেছেন।’
উৎস: Dhaka Times